অয়ন খুনের দশ দিন কেটে গিয়েছে এখনও পর্যন্ত অয়ন মণ্ডলের মোবাইলের হদিস পাননি তদন্তকারীরা। শনিবার ফের একবার অয়নের মোবাইলের খোঁজে মগরাহাটের মাগুরপুকুরে গিয়েছিল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। অয়নের ফোনের হদিশ পেতে তন্ন তন্ন করে চলছিল খোঁজাখুঁজি।
অবশেষে যে জলা জায়গা থেকে অয়নের দেহ মিলেছিল, সেখানে থেকে একটি ফোন উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। তবে, সেই ফোনটি অয়নের নয় বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ওই ফোনটি কার ? আর ফোনটি অয়ন মণ্ডল খুনের সঙ্গে জড়িত কোনও নতুন সূত্রের সন্ধান দিতে পারবে কি না তা এখনও নিশ্চিত করে বলেননি তদন্তকারী অফিসাররা।
দশমীর দিন রাত দুটো নাগাদ অয়নকে ডেকে পাঠান বান্ধবীর মা। বাড়িতে তখন একাই ছিলেন তিনি। কিন্তু আড়াইটে নাগাদ বাবা-ভাইকে নিয়ে বাড়ি এসে অয়নকে মায়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে বান্ধবী। এরপরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটে বলেই অনুমান। তবে, প্রবল আক্রোশ না থাকলে যে এইভাবে খুন করা যায় না, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী আধিকারিকরাও।
একাদশীর সকালে মগরাহাটের একটি খাল থেকে অয়নের দেহ উদ্ধার করা হয়। দ্বাদশীর দিন দেহের শনাক্তকরণ হয়। তদন্তে নেমে হরিদেবপুর থানা অয়নের বান্ধবী, তাঁর বাবা, মা, নাবালক ভাই-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। এরপরেই সামনে আসে বান্ধবী এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে অয়নের সম্পর্কের কথা। অয়নের মোবাইলে দু'জনের সঙ্গেই অয়নের ঘনিষ্ঠ ছবি এবং ভিডিয়ো ছিল। তবে, এখনও অয়নের মোবাইল খুঁজে পায়নি পুলিশ। ফলে, সেই সব ছবি এবং ভিডিয়ো এখনও পুলিশের হাতে আসেনি।
অভিযুক্ত দুই নাবালক বাদে বাকি পাঁচ জন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতেই আছেন। রবিবার তাঁদের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই ফের তাঁদের কোর্টে হাজির করানো হবে।