হরিদেবপুর কান্ডে ত্রিকোণ প্রেমের পর পুলিশকে ভাবাচ্ছে অয়নের খোয়া যাওয়া মোবাইল। পুলিশের দাবি, মোবাইল-বন্দি বান্ধবী ও তাঁর মায়ের একাধিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়োতেই হয়তো লুকিয়ে অ্যাপ ক্যাব চালকের হত্যা রহস্য। তবে এখনও পর্যন্ত অয়নের মোবাইলের খোঁজ পায়নি পুলিশ। ফোন হাতে পেলে রহস্যের জট খোলার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে বলে মত হরিদেবপুর থানার আধিকারিকদের।
তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, মোবাইলে থাকা বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ ছবি এবং ভিডিয়ো ঘিরেই সমস্যার সূত্রপাত। তবে সে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই পরিকল্পিতভাবে অয়নকে খুন করা হয় কি না, তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।তদন্তকারীদের আরও দাবি, তদন্তে উঠে আসা নানা বিষয় নিয়ে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তবে এখনই এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি গোয়েন্দারা।
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার মাগুরপুকুর পুলিশ ক্যাম্পের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় অয়ন মণ্ডলের দেহ। মৃতের পরিবার অয়নের দেহ শনাক্ত করে। পরিবারের অভিযোগ, বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পরই অয়নের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দশমীর রাতেই বান্ধবীর বাড়িতে যান অয়ন। জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছিল তাঁর। হরিদেবপুরের নেপালগঞ্জ এলাকায় তাঁর শেষ মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ।