ওমআর শিটে ফাঁকা গোল অংশ ভরানোর জন্য লোক নিয়োগ। অয়ন শীলকে নিয়ে আদালতে এমনই দাবি ইডির। ওএমআর শিট তৈরির বরাত পাওয়ার সূত্রে অয়নের কাজ সহজ হয়ে যায় বলে দাবি ইডির।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশালের বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, সম্প্রতি কুন্তল ঘোষকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ২০১২, ২০১৪ সালের অযোগ্য টেট পরীক্ষার্থীদের থেকে বেআইনিভাবে একশো কোটি টাকা তুলেছেন অয়ন শীল। সেই টাকা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ইডির। আবার টাকা অংশ কুন্তলের মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ ইডির।
মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের শুনানিতে ইডি জানিয়েছে, অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তার জেরা চলছে। তাই পরিস্থিতিতে মানিক ভট্টাচার্যতে জামিন দেওয়া যাবে না। মানিক ভট্টাচার্যের ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পিএমএলএ আইন অনুযায়ী, ইডির পক্ষ থেকে অয়ন শীলের কাণ্ডের তদন্তভার যেতে পারে সিবিআইয়ের কাছেও। টেট সংক্রান্ত তথ্য পেতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারিকেও তলব করা হয়েছে।