গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে উঠে আসছে নানা তথ্য। মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)।
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করতেন, শিক্ষা দফতর কালীঘাট নয়, নাকতলা থেকে চলবে। বৈশাখী বলেন, "এই পতনের পিছনে ওনার একটা অহংবোধ বোধ হয় ভীষণভাবে কাজ করছে। উনি সব সময় বলতেন, আমি নাম্বার টু। আই অ্যাম নেক্সট টু মমতা (Mamata Banerjee)। মমতা আমাকে কিছু বলতে পারবে না।" শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি খোলাখুলি বলতেন, তাঁর কথার ওপর মমতার সিলমোহর থাকে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলতে পারবেন না। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "আমার মনে হয়, উনি বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিলেন। হয়তো ক্ষমতার একটা ঔদ্ধত্য ওনার মধ্যে কাজ করেছে। আর একটা কর্পোরেট ব্যাকগ্রাউন্ড ওনার ছিল। কর্পোরেট ওয়েতে চুরিকে প্রশ্রয় দেওয়ার ইন্ড্রাস্ট্রি তৈরি করেছেন।"
আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রশ্নমালা, সূত্রের দাবি, ভুবনেশ্বর থেকে ফিরতে পার্থকে জেরা শুরু
পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন অধ্যাপিকা ছিলেন বৈশাখী। সেই সময়ের কথা মনে করে তিনি বলেন, "যখনই কোনও কমপ্লেন পেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তখন হুঙ্কার দিতেন। এসব হচ্ছে, এসব বরদাস্ত করব না। পরবর্তী কালে তারাই পুরষ্কৃত হচ্ছে। এখন বুঝতে পেরেছি, মুখ আর মুখোশ আলাদা ছিল।" বৈশাখী বলেন, "আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন একজন দুর্নীতিপরায়ণ উপাচার্যকে রাখা হয়ছে। কেন ওনাকে সরানো হচ্ছে না। তার জবাবে এক আধিকারিক বলেন, উনি আমাদের সবচেয়ে বড় কালেক্টর। মাসে ও সবচেয়ে বেশি দিচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়দের তো ফিক্সড টাকা দিতে হয়। সেটা মন্ত্রীর কাছে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যায়। পরে জানতে পারি, একদমই তা নয়। তা যদি হত, তাহলে ওনার বান্ধবীর বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হত না।"