ব্যবসায়ীর রেষারেষির জেরেই হরিদেবপুরের (Haridebpur) ৪১ পল্লীর ক্লাবের সামনে অটোতে (Auto) রাখা হয়েছিল বোমা (Bomb) ও অস্ত্র। একদিনের মধ্যে এই ঘটনার কিনার করে এমনটাই দাবি করল পুলিশ (Police)। সিসি ক্যামরার ছবি দেখে এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে দু জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, স্বপন মিত্র এবং ভৈরব বসুর সঙ্গে ব্যবসায়ীক রেষারেষি ছিল বিশ্বজিৎ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির। কারণ ভৈরব এবং বিশ্বজিৎ দু জনেই অটোর ফিন্যান্সার হিসাবে কাজ করতেন। হরিদেবপুরের ৪১ পল্লী ক্লাবের কাছেই বিশ্বজিতের অফিস। সেখানেই ওই অটোর মধ্যে বোমা ও অস্ত্র রাখা হয় বলে জানান তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, বিশ্বজিতকে ফাঁসাতেই এই পরিকল্পনা করেছিল ভৈরব। আর সেই পরিকল্পনায় হাত শক্ত করেছিল সোনু, স্বপন মিত্র এবং অজিত দাস। পুলিশ জানিয়েছে, অজিত বোমা তৈরিতে পটু। তাই সে বোমা তৈরি করে। স্বপন অজিতের কাছ থেকে ওয়ান শর্টার বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র কেনে। ওই অস্ত্রশস্ত্র কেনার টাকা ভৈরবই দিয়েছিল তাকে।
এরপর গত ১৯ এপ্রিল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে অস্ত্রশস্ত্র এবং বোমা মজুত করে তারা। ওই ব্যাগটি সঙ্গে নিয়ে স্বপন মিত্র এবং সোনু অটোটির কাছে যায়। স্বপনের বাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে যায় তারা। প্লাস্টিকের ব্যাগটি অটোয় রেখে আসে। জানা গিয়েছে, ভৈরবের ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তবে বিশ্বজিতের ব্যবসা ফুলে ফেঁপেই উঠেছিল। বিশ্বজিতের ফিনান্স কোম্পানির বদনাম করতেই ভৈরব এই চক্রান্ত করেছিল। ধৃতদের জেরা করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পড়ে। গত ১৮ এপ্রিল গভীর রাতের সিসি ফুটেজে একটি বাইকে চড়ে দু’জনকে সেখানে আসতে দেখা গিয়েছিল। প্লাস্টিকের প্যাকেটে কিছু রাখা হচ্ছে, তাও দেখা গিয়েছিল। ওই সিসি ফুটেজের সূত্র ধরেই পুলিশ দু’জনকে চিহ্নিত করে। তাদের জেরা করেই বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।