ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জেলের মেয়াদ বেড়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতারও। শুনানির শুরুতেই পার্থর জামিনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর আইনজীবীরা। জামিনের শর্ত হিসাবে প্রভাবশালী তকমা ঘোচাতে প্রয়োজনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিধায়ক পদ ছাড়তেও রাজি আছেন আদালতে জানান আইনজীবীরা। জামিনের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী তত্ত্ব এড়াতে তাঁদের সেই চেষ্টাও কার্যত বিফলে যায় শুক্রবার। ইডির পক্ষে রায় দিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালত জানায়, পার্থ-অর্পিতাকে আরও ১৪ দিন কাটাতে হবে জেল হেফাজতে। উল্লেখ্য, অর্পিতা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। অর্পিতাকে খাবার ও জল দেওয়ার আগে যাতে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়, সেই আর্জি জানানো হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে ফের নয়া তথ্য হাজির করে ইডি। আদালতে ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এমএস অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে পার্থ ও অর্পিতার আত্মীয়দের মধ্যে। ওই সংস্থার যে ঠিকানা নথিভুক্ত করা হয়েছে, তা অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের ঠিকানায়।
আরও পড়ুন- Partha-Arpita Case: 'যা স্টেটমেন্ট দেওয়ার ইডিকেই দিয়েছি', হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অর্পিতা
আদালতে পেশের আগে শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তবে এদিন হাসপাতালে প্রবেশের সময় সম্পূর্ণ নীরবই ছিলেন ‘অপা’। কেউই কোনও মন্তব্য করেননি। শারীরিক পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বের হন তাঁরা। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন অর্পিতা। যদিও ইডি জেরায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “তিনি অর্পিতাকে তেমনভাবে চিনতেন না। অনেকেই তার কাছে আসত, সেইভাবেই চেনা।”