দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল রাজ্য বিজেপি। কলকাতা বন্দরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার হেরোইন ধরা পড়েছে। বিজেপির দাবি, তা নাকি তৃণমূল নেতাকে সরবরাহের জন্যই এসেছিল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সকুান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কলকাতা বন্দরে ৪০ কোজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল। ওই সংস্থার মালিক শরিফুল সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। মাদকপাচার চক্রে রাজ্যের দুই মন্ত্রীও যুক্ত বলে দাবি বিজেপির। বিজেপির অভিযোগ, এক মন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি ১৭-১৮বার বৈঠক করেছেন শেখ শাহজাহান। সম্প্রতি দুর্নীতির কারণে ওই মন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে বললেও সরাসরি তাঁর নাম করেনি বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তাঁর দাবি, "যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সবই মিথ্যা। বিজেপির মতো মিথ্যাচারী দল আর দুটি নেই। কেউ ওদের কথা বিশ্বাস করবে না।"
রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, গিয়ার বক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে হেরোইন আনা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্য বিজেপি। প্রসঙ্গত গত ৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা বন্দরে তল্লাশি চালিয়ে ২০০ কোটি টাকার ৪০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে গুরাট পুলিশের এটিএস শাখা। বিজেপির অভিযোগ, গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর এই মাদক বুক করা হয়। গত মার্চে মাদক পড়ে থাকলেও তা নিতে আসেননি শরিফুল মোল্লা। বিজেপির অভিযোগ, বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে পারে শরিফুল। BSF তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি বিজেপির।