নবান্ন অভিযানের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি। শক্তি প্রদর্শনে জেলা জেলা থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চলছে একাধিক জেলায় মহামিছিল। তবে নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে যাতে কোনও অনীহা না থাকে, তার জন্য একাধিক রেলস্টেশন থেকে নবান্ন এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। গোটা ট্রেন ভাড়া নেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রেলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা ও শিয়ালদহ স্টেশনে কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হবেন। সেখান থেকে নবান্নের পথে যাবে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সূত্রের খবর, রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মিছিলের গতিমুখ বুঝিতে দিয়েছেন। এবার নবান্ন অভিযানে ত্রিফলা নেতৃত্বে ভরসা রাখছে বিজেপি। প্রথম মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃতীয় মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে প্রথম মিছিল হবে সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড থেকে নবান্ন পর্যন্ত। সঙ্গে থাকবেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, সৌমিত্র খাঁ সহ অন্য নেতারা। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দ্বিতীয় মিছিল হবে হাওড়া ময়দান থেকে, ব্রিজ পেরিয়ে ব্রোবোর্ন রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলী সেতু। সেখান থেকে নবান্ন। এই মিছিলে থাকবেন সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, শমীক ভট্টচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল। তৃতীয় মিছিল দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট থেকে থেকে সোজা নবান্ন পৌঁছবে। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থাকবেন দীপক বর্মণ, সাংসদ জগন্নাথ সরকার, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরা।