রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এবার সেই অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও চেয়েছে আদালত।
থ্রেট কালচার নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ লবি এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। টাকা তোলা থেকে শুরু করে, পরীক্ষায় নম্বর বৃদ্ধি এবং হস্টেল পাওয়া পর্যন্ত সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করত উত্তরবঙ্গ লবি। গোটা বিষয়টি নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষার উত্তরপত্র ফাঁস, হয়রানি, পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট উদ্বিগ্ন। সব অভিযোগগুলি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলেও মন্তব্য করে বিচারপতিদের বেঞ্চ। বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এক মহিলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় একটি করে ছুরি নিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের তরফেই সেই ছুরি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনকি অনেকে আত্মরক্ষার জন্য পেপার স্প্রে নিয়ে যাচ্ছেন।
এর জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযোগগুলি রাজ্যের নজরে এসেছে। এবং রাজ্য সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে। অনেক অভিযুক্তকে বহিষ্কার এবং অন্যত্র বদলিও করা হয়েছে।
এরপর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর মামলাটির ফের শুনানি হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার থ্রেট কালচার বন্ধ করতে কী কী পদক্ষেপ করেছে তাও হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।