নবম-দশম শ্রেণিতে এসএসসির (SSC) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। সোমবার এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,"প্যানেলে নাম নেই, তাও কীভাবে এই নিয়োগ হয়েছে, সেটা চরম বিষ্ময়ের।" এই নিয়ে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নবম ও দশম শ্রেণির (Claxx IX and X) এসএসসি-র শিক্ষক দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) পিছনে কারা আছে, তাও সিবিআই-কে রিপোর্টে জানাতে হবে। আদালত জানিয়েছে, "এই দুর্নীতির নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন থাকলে তাও খুঁজে বের করুক সিবিআই (CBI)। যাঁদের হাতের পুতুল সরকারি অফিসাররা, তাঁদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।" এসএসসির চেয়ারম্যানের রিপোর্টেও তালিকার বাইরে নিয়োগের উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত আনিস খানের, সোমবার কবর থেকে তোলা হবে দেহ, পরিবারকে নোটিস SIT-এর
এর আগে গ্রুপ সি-তে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে জানানো হয়, তদন্তে নজরদারি করবেন সিবিআই অধিকর্তা। ভুয়ো চাকরির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছিল ৩৫০ জনের চাকরি। অবিলম্বে ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ আছে বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলাতেও সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার রিপোর্ট কমিটিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।