এসএসসির (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাই প্রধান অভিযুক্ত। প্রয়োজনে জেলে রেখে তার জেরা করতে পারে সিবিআই (CBI)। এসএসসি কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি চার কর্তাকেও জেরা চালিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সোমবারের মধ্যে তাদের সম্পত্তির হিসাব পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। ৯৮ জন বিতর্কিত প্রার্থীকেও সিবিআই মনে করলে জেরা করতে পারে। এই ৯৮ জনকে ডাকার জন্য সিবিআই রাজ্য পুলিশ ও সিআরপিএফের সাহায্য নিতে পারে।
এসএসসি কর্মী নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার নতুন করে চাপ বাড়ায় হাইকোর্ট। স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ মামলায় এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টাকে মঙ্গলবার ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সার্ভে পার্ক (Survey Park Police Station) থানার ওসিকে এই হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এসএসসি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে (Abhijit Ganguly Single Bech) রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। চার কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী পাওয়া গিয়েছে, তার রিপোর্টও জমা দিয়েছে সিবিআই।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে রাজ্যের আইনজীবী জানান, যতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের নিয়োগ বাতিল করতে অসুবিধা নেই। ওয়েট লিস্টে তাদের নাম রাখা হবে। বিচারপতির নির্দেশই মানা হবে।
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলে আসতেই হবে', ঝালদার কংগ্রেস নেতা খুনে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতির উল্লেখ্যযোগ্য মন্তব্য, "তাদের কিছুটা স্বস্তি দিন যারা পাশ করেও দু'বছর ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়িতে কাঁদছেন। আর গান্ধী মূর্তির নীচে বসে আছেন, বিশ্বাস করছেন তাদের কিছু হবে।" তারপরই সরকারি আইনজীবী বলেন, "কারও চোখের জল ফেলতে দেব না।" এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "শান্তি প্রসাদ সিনহা আসল কালপ্রিট। সিবিআই প্রয়োজনে তাঁকে জেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ঝুলি থেকে বেড়াল বেড়িয়েছে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এনাফ ইজ এনাফ!"