মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর নিয়ে তাদের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার আগে নিহত চিকিৎসকের দেহে ক্ষতচিহ্ন কী ভাবে এল, তা নিয়ে নিজেদের তদন্ত খানিকটা এগিয়ে নিয়ে গেল সিবিআই। বুধবারই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে এই ঘটনায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরা করেছেন সিবিআই অফিসাররা। সংগ্রহ করেছেন গ্রেফতার প্রাক্তন সিভিকের টিথ ইমপ্রেশনও।
সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তের কামড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই সূত্রেই দাবি, নিহত চিকিৎসকের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলির সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই।
সম্প্রতি সঞ্জয়ের টিথ ইমপ্রেশনের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আলিপুরের বিশেষ আদালতে গিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে সঞ্জয়কে জেরা করেন সিবিআই কর্তারা। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার নির্যাতিতার দেহে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে ময়না-তদন্তে দাবি করা হয়েছিল।
এই ক্ষত এল কোথা থেকে তা খতিয়ে দেখতেই সঞ্জয়ের কামড়ের এবং লালরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নরম একটি বস্তুতে কখনও আস্তে, কখনও জোরে কামড় দিতে বলা হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। প্রাপ্ত নমুনা ফরেন্সিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে আরজি করের ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় একমাত্র গ্রেফতার সঞ্জয়কে এখনও পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আপাতত জেল হেফাজতে সঞ্জয়। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে সঞ্জয়ের দিকেই ইঙ্গিত রয়েছে।