প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে বেরোলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে তাঁর বাড়িতে থেকে বেরোতে দেখা যায় সিবিআই কর্তাদের। হাতে বেশ কিছু নথিপত্রও দেখা যায় তাঁদের।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই নজরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ। টানা ৯দিন সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীও সঙ্গে যায়। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর দরদার ফাঁক থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ভিতরে চলে যান। এরপরেও দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করেন আধিকারিকরা। দরজা না খুললে কী ভাবে প্রবেশ করা হবে, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করে সিবিআই।
সকালে ৮টা ৬ মিনিট নাগাদ দরজা খোলেন সন্দীপ ঘোষ। প্রথমে ৭ জন সিবিআই আধিকারিক ভিতরে যান। দুপুরের দিকে আরও আধিকারিক তাঁর বাড়িতে আসেন। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগের দেবাশিস সোম, প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতেও এদিন হানা দেয় সিবিআই। হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ার মালিক চন্দন লৌহের টালা ফ্ল্যাটেও তল্লাশি করেন আধিকারিকরা। সকালে ও সন্ধ্যায় দুবার আরজি কর হাসপাতালেও যান সিবিআই আধিকারিকরা।
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৬ অগাস্ট রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছিল। রাজ্য পুলিশের সিটের উপর আস্থা নেই বলে আর্থিক দুর্নীতির মামলা ইডিকে দেওয়ার আবেদন করেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। হাই কোর্ট এই তদন্তভার সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখাকে দেয়। এরপরই শনিবার এফআইএর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।