পরপর হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু বুধবার হাজিরা এড়ানোর পর আর সময় দেয়নি সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সকালেই গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। তারপর থেকেই সিবিআই কর্তাদের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে অনুব্রতকে। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) তাঁকে টানা জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রতের জন্য কীভাবে সাজানো হয়েছে প্রশ্নমালা!
সিবিআই এনামুল ও সায়গলকে জেরা করে জানতে পেরেছে, ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে গরুপাচার চক্র। অনুব্রতের সঙ্গে এনামুলের ফোনে কথা হত। ফোনেই চুক্তি হত। সিবিআই ইতিমধ্যেই চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে। সিবিআই জেরায় এনামুল জানিয়েছে, পাচার করতে গেলে 'প্রোটেকশন মানি' দিতে হত অনুব্রতকে। সিবিআই জানতে পেরেছে, ৩ মাসে ৬ কোটি টাকার ডিল হয়েছে অনুব্রত ও এনামুলের। পাচারের অপারেশন দেখত অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সায়গলকে টাকা দিতেন এনামুল। সায়গল তা অনুব্রতের কাছে আনতেন। ভাগ পেতেন সায়গলও।
আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে কেমন কাটল অনুব্রত মণ্ডলের প্রথম রাত! আজই জেরা করতে পারেন আধিকারিকরা
সায়গল ও এনামুলকে জেরা করে জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় অনুব্রতর গরু পাচারের টাকা খাটত। সেই সব সম্পত্তির হদিশ পেতেই এবার অনুব্রতকে বারবার তলব করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, শুক্রবার এসব বিষয় নিয়েই জেরা করা হবে বীরভূমের দাপুটে নেতাকে। গরুপাচারের টাকা কোথায় বিনিয়োগ হত এবং এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িয়ে আছে, এসব নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে