ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিজের কাছে থাকা সব তথ্য সিবিআইকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলেই জানালেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর সাংগঠনিক যুব সভাপতি তথা রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় দেবরাজ বলেন, ২০২১ সালের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাকে নোটিস পাঠিয়ে ডেকেছে সিবিআই। তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে এসেছি। ওঁরা যা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন আমার কাছে যতটুকু তথ্য রয়েছে তা দিয়ে আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।'
২মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর ২৩ মে কেষ্টপুরের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ পল্লির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রসেনজিৎ দাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী ছিলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই খুনের পিছনে রয়েছে। এমনকি, বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে চূড়ান্ত অসযোগিতার মুখেও পড়তে হয় বলে দাবি মৃতের আত্মীয়দের। এরপরেই তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হন।
এরপর ২০২২ সালে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তদন্তে উঠে আসে দেবরাজের নাম। এরপর এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দেবরাজকে তলব করে সিবিআই। মঙ্গলবার নির্দিষ্ট সময়েই সেখানে পৌঁছন তিনি।