বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের ভোট গণনা। প্রাথমিকভাবে গণনা শেষ হতে প্রায় দু'দিন লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার আগে মঙ্গলবার রাতে ফের রাত জেগে ব্যালট পাহারা দেন বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ ক'দিন ধরেই রাত পাহারার এই ছবি চোখে পড়েছে। ব্যালট বক্স পাহারার পাশাপাশি ডাক্তারবাবুরা কখনও মেতেছে আড্ডায়, কখনও গল্পগুজব আবার কখনও গানে। উল্লেখ্য, মেডিকেল কাউন্সিলের ভোট নিয়ে সরকারপন্থীদের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলেন চিকিৎসকদের ছটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’-এর সদস্যরা। এমনকি ভোট চলাকালীন ভিডিও পোস্ট করে সেই ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ভোট শেষের পরে বিরোধী প্রার্থীদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এই অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করেছেন।
‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অব ডক্টরস’-এর অভিযোগ, ভোট চলাকালীন এক ব্যক্তি প্রায় ৫০০ ব্যালট নিয়ে আসেন। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড’ লেখা খামে ছিল সেই ব্যালট। ওই ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দেওয়া হলেও তিনি যে ফের আসবেন না, তার নিশ্চয়তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিরোধী সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি, গণনার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তৃণমূল নেতাদের পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন- Dengue Deaths in West Bengal: গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে জোড়া মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ১,০৯১ জন
বিরোধী সংগঠনের তরফে আরও অভিযোগ, যে ব্যালটগুলি ডাক্তারদের বাড়িতে পাঠানো হলেও না পেয়ে ফেরত এসেছে- এরকম ব্যালট সংখ্যায় প্রায় ২০,০০০। ডাকঘরের এক সূত্রে খবর এমনটাই। কাউন্সিলে সূত্রে জানা গিয়েছে, রিটার্ন ব্যালটের সংখ্যা ১৫,০০০। ফলে বাকি ৫,০০০ রিটার্ন ব্যালটের গরমিল নিয়েই আশঙ্কায় বিরোধীরা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের চিকিৎসক বিধায়কের কথায়, ‘‘জেলা থেকে ব্যালট আসা শুরু হয়েছে। আশা করি, আমরা যাঁরা তৃণমূলের প্যানেলে দাঁড়িয়েছি, সকলেই জয়ী হব।’’ তবে গোলমালের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।