ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই খুন করা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় ফিরে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দর থেকে সোজা ভবানীপুরে খুন হওয়া ব্যবসায়ী ভব্য লাখানির বাড়িতে যান তিনি। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে তিনি জানান, ওষুধ ব্যবসায়ীর খুনের খবর পেয়েই তিনি সফর কাঁটছাট করেছেন। এই খুনের তদন্তে লালবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ শেষবার ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর পরিবারের। এরপর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। বালিগঞ্জ থানা, লালবাজার যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। সঙ্গে নিমতা থানার পুলিশও ছিল।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নিমতায় ব্যবসার অংশীদারের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় পুলিশ। বাড়ি থেকে বেশ কিছু উইকেট উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান ওই উইকেট দিয়েই খুন করা হয় ব্যবসায়ীকে। জলের ট্যাঙ্কের নিচে মৃতদেহ পাওয়া যায়। বস্তাবন্দি দেহ লুকোনোর জন্য রাতারাতি সিমেন্ট ও বালি দিয়ে গাঁথনি করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।