বাংলার সিনেমার নক্ষত্রপতন। পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। এদিন পরিচালকের প্রয়াণের খবর পেয়েই রাজ্যের তরফে হাসপাতালে আসেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর শোক বার্তার কথা জানান। সোমবার সকাল সোয়া এগারোটার কিছু পরে মারা যান পরিচালক তরুণ মজুমদার। রাজ্য়ের শোকবার্তায় লেখা হয়েছে, বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গিয়েছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে। তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র, ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘গণদেবতা’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘পথভোলা’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘আলো’ ইত্যাদি উল্লেখের দাবি রাখে।
ওই শোকবার্তায় আরও লেখা হয়েছে, তিনি পদ্মশ্রী, জাতীয় পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার-সহ বিভিন্ন সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার হঠাৎই অবনতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না। গত কয়েকদিন আগেই অসুস্থ পরিচালককে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
গত ছয় দশক থেকে বাংলা সিনেমাকে গল্প বলার রসায়ন শিখিয়ে ছিলেন তরুণ মজুমদার। চাওয়া পাওয়া থেকে ভালবাসার বাড়ি। শেষ হল বাংলা সিনেমার তরুণ অধ্য়ায়।