দেড়দিন পার, আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে ধর্মতলায় অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ দফা দাবিতে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশন চলছে। এই আবহে সাংবাদিক বৈঠক করে অনশনরত চিকিৎসকদের বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, "সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে সমস্য়া হচ্ছিল। একসঙ্গে এক সিসিটিভির সাপ্লাই পাওয়া কঠিন ছিল। সেই সমস্যা এখন মিটে গেছে। সাপ্লাইয়েও ঘাটতি নেই। হাসপাতালে সিসিটিভির নজরদারি থাকবে।১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন পুজো রয়েছে। আশা করি, এই সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। ডিউটি রুম, রেস্ট রুমেও অপারেশনাল কাজের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শুরু করার বিষয়টি ধীরে হলেও, কাজ দ্রুত এগোচ্ছে।"
শুধু তাই নয়, এবার হাসপাতালগুলিতে প্যানিক অ্যালার্ম চালু হবে। ১ নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে মুখ্যসচিবের মতে, সবাইকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে। চিকিৎসকদের এরপরই কাজে ফেরার আবেদন করেছেন মুখ্যসচিব।
আমরণ অনশনের দেড় দিন পার হলেও সাড়া দেয়নি সরকার। সোমবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পঞ্চমীর দিন সকাল ৯টা থেকে ১২ ঘণ্টা আমরণ অনশন করবেন রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজগুলির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। মিছিলে থাকবেন সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ একাধিক সংগঠন।