ভারতীয় জাদুঘরে গুলি-কাণ্ডের ঘটনায় ধৃত অক্ষয় কুমার মিশ্রকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। রবিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। দীর্ঘ মানসিক অবসাদ থেকেই গুলি চালিয়েছিলেন অক্ষয়। প্রাথমিক ভাবে এই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। তবুও অক্ষয়কে আরও জেরার জন্য এদিন আদালতে তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সিআইএসএফের হেড কনস্টেবলকে। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তারপর আদালতে পেশ করা হয়েছিল।
শনিবার গ্রেফতারের পর টানা জেরা করা হয়েছে জাদুঘর গুলি-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্রকে। লালবাজার ও নিউ মার্কেট থানার যৌথ জেরার পর প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছে, একজন নয়, শনিবার সন্ধ্য়ায় উপহাসের বদলা হিসেবে চার জনকে টার্গেট করেছিলেন অক্ষয়। তবে তাঁর টার্গেটে কোনও ভাবেই ছিলেন না এই ঘটনা নিহত অ্যাসিট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিৎ সারেঙ্গি। তদন্তকারীদের দাবি, এই ঘটনায় সুবীর ঘোষকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছে রঞ্জিতের।
প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, রোজের মতো শনিবারও ভারতীয় জাদুঘরের দরজা বন্ধ হয়েছিল সন্ধ্যে ছটাতেই। সেইসময় রোল কল চলছিল। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সেইসময় এক সেন্ট্রির হাত থেকে ক্যালাসনিকোভ রাইফেল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন অক্ষয়। তারপরেই শুরু হয়েছিল এলোপাথাড়ি গুলি চালানো। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় অক্ষয় স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রথম টার্গেটই ছিলেন সুবীর ঘোষ।
প্রাথমিক ভাবে অক্ষয়কে নিরস্ত্র করার কাজ শুরু করেছিলেন ওড়িশার আর এক বাসিন্দা রঞ্জিৎ সরঙ্গি। কিন্তু কথা নয়, বরং তখন গুলির মেজাজে ছিলেন অক্ষয়। আর সেকারণে তাঁর টার্গেটে চলে আসেন রঞ্জিৎ। ঝাঁজরা হয়ে যান অক্ষয়ের নিশানায়। পুলিশের প্রাথমিক দাবি, নিজেকে বাঁচাতে বারাকের বাইরে চলে এসেছিলেন সুবীর ঘোষ।
কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার ও সিআইএসএফের আইজির হাতে ঘটনাস্থলে ধরা পড়ার পরেই নিজের দোষ কবুল করে নেন অক্ষয়। তারপর রাতভর জেরায় গত কয়েক মাস ধরে চলা তাঁর উপর মানসিক নির্যাতনের কথা উগড়ে দিয়েছেন তিনি।