জয়নগরের ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে ফাঁসি সাজা হবে। রবিবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে একথা সাফ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে পকসো আদালতে এই মামলা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় কিছু হলেই প্রতিবাদ হচ্ছে, আর অন্য জায়গায় কিছু ঘটলে তা নিয়ে কোনও কথা হচ্ছে না।
তাঁর সরকার পুলিশের পাশে আছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কিছু অংশ থেকে বাংলার বিরুদ্ধে ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আর তা ছড়ানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে। ভবিষ্যতে যে এই ফেক নিউজ ধরতে পারবেন, তাঁকে সরকার পুরস্কৃত করবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। বডিগার্ডের মঞ্চ থেকেই এদিন রাজ্যের আরও চারশোটি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, সোমবার কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে হবে জয়নগরে নিহত পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্ত। রবিবার কলকাতা হাই কোর্টে জরুরি শুনানিতে এই নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। কেন এই ঘটনায় পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, সেই প্রশ্নও রাজ্যের পুলিশের সামনে রেখেছেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, নির্যাতিতার বয়স ১০ বছরের কম, অথচ এই মামলায় পকসো আইন নেই ? এর পরেই জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে পকসো আইনের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে মেয়ের ময়নাতদন্তের দাবি জানান জয়নগরের ঘটনায় নিহত পড়ুয়ার বাবা। সেই দাবি মেনে কলকাতা হাই কোর্টে যায় পুলিশ। প্রধান বিচারপতি টিএম শিবজ্ঞানমের নির্দেশে জরুরি শুনানি করে কলকাতা হাই কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ, এইমসের ডাক্তাররাই ময়নাতদন্ত করবেন। বারুইপুর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। শুধুমাত্র বাবা-মা চাইলে ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো দেখতে পারবেন। ময়নাতদন্ত কক্ষের বাইরে তাঁরা থাকতে পারবেন।