মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজ্যের শাসক দলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিযোগ, ভয় দেখানো হচ্ছে বাকিদেরকেও। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে যদি লোক যায়, তা-হলে তৃণমূলের নেতা-কর্মী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবেন তো ? রবিবার প্রাক-স্বাধীনতার অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এদিনও জনসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, মধ্য়রাতে লোকের বাড়িতে গিয়ে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে গিয়ে সিবিআই দল বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর আরও অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক শীর্ষ নেতাকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। এখানেই তাঁর হুঁশিয়ারি, বিজেপির এই কৌশল সফল হবে না। কারণ, তিনি তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে জেল ভরবেন।
তবে তৃণমূল যে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসবে, তা এদিন স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেত্রী। ১৬ অগাস্ট রাজ্য়ে খেলা হবে দিবস। ওই দিন থেকেই রাজ্য়ে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল শুরু হবে। এমনকী তৃণমূল স্তরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচার করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে এদিন নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রবল আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উসকে দিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ থেকে মেদিনীপুরে শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন।