রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জহর সরকার। শুধু তাই নয়, রাজনীতিকেও বিদায় জানিয়েছেন তিনি। রবিবার বিকেলে তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় তাঁদের মধ্যে। ফোনে দলনেত্রীকে জহর সরকার জানিয়ে দেন, তাঁর আর সাংসদ পদে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কী কথা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেননি জহর সরকার। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে তাঁর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এ বিষয় কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে বলবেন না। জানা গিয়েছে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন জহর সরকার।
রবিবার সকালে জহর সরকারের ইস্তফাপত্র প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদলের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়। তাঁর ইস্তফার খবর প্রকাশ্যে আসতেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জানান, এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই উচিত নয়। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর জায়গায় জহর সরকারকে পাঠায় তৃণমূল। ২০২৬ সালে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দলের একাংশের মতে, ফের রাজ্যসভার সাংসদ পদে পাঠানো হোক কুণাল ঘোষকে।
জহর সরকারের পদত্যাগ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, "এই ছোট ছোট পদত্যাগে কাজ হবে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।"