বাংলার বাইরে আলু আর যাবে না। তাঁর অনুমতি ছাড়া ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা যাবে না। নবান্নে কৃষি দফতরকে ডেকে একথা স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলায় আলুর দাম বাড়িয়ে অন্য জায়গা থেকে মুনাফা লোটা হবে, আর তিনি চাষিদের জন্য বীমার ব্যবস্থা করবেন, দুটো জিনিস একসঙ্গে চলতে পারে না। এই জিনিস তিনি বরদাস্ত করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তিনি বাংলা থেকে আলু ছেড়েছিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, বাংলার প্রয়োজন মিটিয়ে তারপর অন্য রাজ্যে আলু পাঠাতে হবে। কিন্তু মুনাফার লোভে এক শ্রেণির মানুষ এই কাজ করছেন। এর পিছনে পুলিশের নীচু তলার কর্মীরাও যুক্ত বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শীত আসার আগে কলকাতা ও জেলার বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে আলুর দাম। টাস্ক ফোর্সকে ময়দানে নামিয়েও বাগে আনা যায়নি। বাংলার আলু তাহলে কোথায় যাচ্ছে ? এই প্রশ্ন এদিন নবান্নে রাজ্যের তিন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বেচারাম মান্না এবং প্রদীপ মজুমদারের সামনে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যে পেঁয়াজ ঘাটতি মেটাতে গত কয়েক মরশুমে ৭৫ শতাংশ ফলন উৎপাদন সক্ষম হয়েছে বাংলা। এই ব্যাপারে নিজের উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে মুনাফা লোটার চেষ্টা। সাহায্য করবে রাজ্য আর কিনতে গিয়ে রাজ্যের মানুষের হাত পুড়বে, সেটা তিনি বরদাস্ত করবেন না।