আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ঘটনা নিয়ে প্রথম জনসমক্ষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার তিনি জানান, আলিয়ার একটা অংশে ভাল ছাত্রছাত্রী আছে। কিছু ছাত্রছাত্রীর ক্ষোভ আছে। পুলিশ তাদের অ্যারেস্ট করেছে। আলিয়ার কথা বলতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের (Visvabharati University) ওপরেও ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে বলেন, "বিশ্বভারতীতে গিয়ে দেখুন, ওখানে কী হচ্ছে।"
গত সপ্তাহে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মহম্মদ মন্ডলকে ঘিরে ধরে আপমান করে ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন ও তাঁর ১০-১৫ জন সঙ্গী। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন উপাচার্য। জানান, এই পরিস্থিতিতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে চান না তিনি। তাঁর মতে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আর নিজেকে 'নিরাপদ' ও 'সম্মানিত' বলে মনে করছেন না। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিবিআই দফতরে আনা হল এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে, মঙ্গলবার জেরার সম্ভাবনা
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আলিয়ার একটা অংশের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করে। তারা সবাই ভাল। তবে কয়েকজন আছে, যাদের ক্ষোভ আছে। যে একটু কটূ, খারাপ কথা বলেছে, পুলিশ তাকে অ্য়ারেস্ট করেছে। আমাদের এখানে পুলিশ অ্যাকশন নেয়।"
বহিষ্কৃত টিএমসিপি নেতা গিয়াসউদ্দিন ও অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীদের ভয় দেখিয়ে ঢুকেছে বলে অভিযোগ নিগৃহীত উপাচার্য মহম্মদ মণ্ডলের। উপাচার্য জানান, ঘটনার দিন উত্তেজনার আঁচ পেয়ে তিনি প্রথমে বোর্ড রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা দরজা ধাক্কা দেওয়ায় ভয়ে তিনি বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন এবং তাঁর ১০-১৫ জন সঙ্গীর হাতে হেনস্থার সময় তিনি পুলিশকে ফোন করেও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য।