অভি-সংবাদ। তৃণমূলের অন্দরে এখন এটাই গুঞ্জন। এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের উন্নয়ন যাত্রা কোন পথে চলবে, তার নীল-নকশা তৈরি করে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, চারটি প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা বাড়িয়ে রাজ্যে ভোট বাদ্যি বাজার আগেই বিধানসভার সুর টেনে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন যতই অপপ্রচার হোক, ২০২৬ সালে নবান্নে ফিরতে তাঁর হাতিয়ার উন্নয়ন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার। গত লোকসভার ময়দানে এটাই ছিল মমতার ম্যাজিক। তাঁর উন্নয়ন হাতিয়ারে এই প্রকল্প অন্যতম বড় অস্ত্র। আর এই অস্ত্রেই দু বছর আগে থেকে শান দিতে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণা, পাঁচ লক্ষের বেশি মহিলাকে এই প্রকল্পে নতুন উপভোক্তা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। এতদিন এই প্রকল্পে সরকারি খরচ ছিল কমবেশি ৪৯ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়াল ৬২৫ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, কারুর দয়ার জন্য বাংলার মহিলারা অপেক্ষা করতে হয় না।
গ্রামীণ প্রকল্পে বাড়ি কার ? কেন্দ্রের না রাজ্যের ? গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে এই বিতর্ক চলছে। নিত্যদিন বাড়ছে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে ডিসেম্বর মাসে প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে চলেছে রাজ্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে এটাও মমতার একটা মাস্টারস্ট্রোক। কারণ বাংলার বাড়ি তাঁর ভোট প্রতিশ্রুতির মধ্যেই ছিল।
এই ঘোষণা মধ্যে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর লাইন স্পষ্ট। বিধানসভার ভোট চাইতে হলে ময়দানে নেমে উন্নয়নের কথাই বলতে হবে। এবং ভোট চাইতে হবে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে। তাই আগামী নির্বাচনের অনেক আগেই প্রতিটি সরকারি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
সরকার ও দলের সমন্বয় সেতু তৈরিতে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, ডু ইট নাও। রাজনৈতিক মহলের দাবি, অমিত শাহ কলকাতা এসে যখন বিজেপিকে আগামী বিধানসভা ভোটের জন্য ফোকাস করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু-সুকান্ত হাতে অস্ত্র কী, সেটা স্পষ্ট করেননি শাহ।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী বিধানসভা ভোটের জন্য কী নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা, তা নবান্ন থেকে বসেই ঠিক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এঁকে দিলেন বাংলার উন্নয়নের নতুন রূপরেখা।