গঙ্গাভাঙন নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া। ২১ ফেব্রুয়ারি এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন মমতা। এদিন ফের গঙ্গাভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে জানান, গঙ্গা ও ভাগীরথী ও পদ্মার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। ফলে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারাচ্ছে এই তিন জেলার মানুষ। ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি আছেন তাঁরা।য এই ভাঙন রুখতে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের ফলে নদীর গতিপথে প্রভাব পড়ছে। নদী ভাঙন রুখতে ফরাক্কা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। গঙ্গাভাঙন রুখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে পর্যবেক্ষণ করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকার ও গঙ্গা ফুড কন্ট্রোল কমিশনকে এই সমীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করা হোক। নির্দিষ্ট বাজেটের ভিত্তিতে ফান্ড ধার্য করার অনুরোধও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর গঙ্গাভাঙনের জেরে ফুলহার নদীর মধ্যবর্তী সমতলের পরিধিও ক্রমশ কমছে। ২০০৪ সালে দুই নদীর মধ্যে ৪ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল। তা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে দেড় কিলোমিটার।