এক রাতেই পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকেনি হাফিজুল। বরং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার আগে এলাকায় সাত থেকে আটবার রেইকি করেছিল উত্তর ২৪ পরগনার এই যুবক। সোমবার আলিপুর আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তদন্তকারীরা। আদালতে তাঁদের দাবি, মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ি সম্পর্কে খোঁজ নিতে হাত করেছিল পাড়ার ছোটদের। তাদের কোল্ডড্রিঙ্ক ও চকোলেটে ভেট দিয়ে হাতিয়ে ছিল একাধিক তথ্য। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং বাংলাদেশেও ফোন করেছিল সে। ব্যবহার করেছিল ১১টি সিমকার্ড। এদিন হাফিজুলের বিরুদ্ধে যোগ করা হল ষড়যন্ত্রের ধারা। আদালতে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একাধিকবার বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাদেশে ফোন করেছেন হাফিজুল। এদিকে, আরও জেরার জন্য ১৮ জুলাই পর্যন্ত হাফিজুলকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকে পড়ার অভিযোগে গত কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে হাফিজুল মোল্লাকে। এই ঘটনার তদন্তে তৈরি করা হয়েছে সিটও। গ্রেফতারের সময় হাফিজুলের হাতে লোহার রড পাওয়া গিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মোবাইল ফোনও।
আরও পড়ুন : মেট্রোর উদ্বোধন বয়কট তৃণমূলের, মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে, দাবি ফিরহাদের
গত ২ জুলই মধ্য়রাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে ঘাপটি মেরে ঢুকে পড়েছিল এই যুবক। পরের দিন সকালে তাঁকে প্রথমে কালীঘাট থানা পরে লালবাজারে হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ জেরার পর হাফিজুলের থেকে এই তথ্য উদ্ধার হয়েছে বলেই এদিন আদালতে জানান তদন্তকারীরা।