এতদিন চুপ ছিলেন। কিন্তু ভবনীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর দিনেই কসবার পুজো নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গান্ধীজিকে যারা অসুর বানিয়েছে, তাদের কী শাস্তি হওয়া উচিত ? গোটা ঘটনাকে সমাজের লজ্জা বলে বর্ণনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জনতাই শাস্তি দেবে। এই পুজোতে দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্কের হিন্দু মহাসভার পুজো ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মূলত মহাত্মা গান্ধীর আদলে অসুর তৈরির অভিযোগ ওঠে। সপ্তমীর দিন ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বদলে দিয়েছিল অসুরের মূর্তি।
এদিনের বিজয়া সম্মিলনীতেও নাম না করে বিজেপিকেই আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। গোটা ঘটনায় তিনি যে দুঃখ পেয়েছেন, তা-ও জানান তিনি। কারণ, জাতীর জনককে যে ভাবে হেয় করা হয়েছে, তাতে সমাজের একজন নাগরিক হিসাবে তাঁর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানান, পুজোয় তিনি কোন বিশৃঙ্খলা চাননি। তাই চুপ করে ছিলেন। মমতা আরও বলেন, ‘‘প্রথমে তো জানতেই পারিনি এ সব। ভিতরে ভিতরে কবে করেছিল। দেশের এক নম্বর নেতাকে অসুর বানালেন! লজ্জা হচ্ছে এটা বলতে। দুঃখ পেয়েছি।’’
যদিও ওই পুজোর মূল উদ্যোক্তা চন্দ্রচূড় গোস্বামী আগেই দাবি করেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীর আদলে অসুর তৈরি তাদের প্রয়াস ছিল না। এটা কাকতালীয় ভাবে ঘটে গিয়েছিল।