রাজ্যের ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। সিপিএমের আইনজীবীরা আদালতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মামলায় দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। নথি আদানপ্রদানের প্রক্রিয়া ঠিক না হওয়ায় শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে এদিন। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
সুজিত গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি রাজ্যের ১৭ জন বিরোধী দলের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে মামলা করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, এই নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ চোখে পড়ার মতো। এই মামলায় সিপিএম নেতৃত্বের মধ্যে নাম আছে তন্ময় ভট্টাচার্য ও মহম্মদ সেলিমের। এদিন আদালতে তাঁদের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেল। যে কোনও নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবিও তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আগেও সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। আবার দিতে কোনও অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন: ফের শুভেন্দুর কনভয়ে ট্রাকের ধাক্কা, আহত নিরাপত্তারক্ষী, ট্রাকের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ
গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে আনার মত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও মামলাকারী উল্লেখ করেন। এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
হাই কোর্টে দায়ের করা এই মামলায় নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি রাহুল সিনহার। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নানেরও।