বিরোধীদের পাল্টা চাপে ফেলতে বাম-কংগ্রেস শিবিরকে একযোগে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল। সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে অস্বস্তি কাটাতে তৃণমূল নেতারা জানান, বাম ও কংগ্রেস নেতাদেরও সম্পত্তি বেড়েছে। এই নিয়েই এবার একমাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। তিনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে তৃণমূলকে। না হলে মানহানির মামলারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ১৯ জন তৃণমূল নেতার (19 TMC Leaders) নাম প্রকাশ্যে এসেছে। যাদের ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও (PIL) দায়ের করা হয়েছে হাই কোর্টে। বুধবার এ নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রাত্য বসু জানান, সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেক বাম-কংগ্রেস নেতারই সম্পত্তি বেড়েছে। মহম্মদ সেলিম বলেন. "আমি ব্রাত্য বসুকে চ্যালেঞ্জ করছি। এখন সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম বলা হচ্ছে। পিটিশন দিক। ব্রাত্য বসু তাঁর আইনজীবীদের বলুন, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি যে সিপিএম নেতাদের নাম বলেছেন, সাহস থাকলে তাঁদের নামে পিটিশন দিন। আর যদি না করেন, মানহানির মামলা হবে।"
আরও পড়ুন: এবারের রাখিতে নয়া চমক রাজ্যের, বাংলায় সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিলি হবে 'জয় বাংলা' রাখি
ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। সংবাদমাধ্যমে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "সম্পত্তি বাড়লে এতদিন ওনারা কী করছিলেন! ৩৪ বছর সরকারে ছিলাম। ২০ বছর মন্ত্রী ছিলাম। তারপর আরও পাঁচ বছর বিধায়ক ছিলাম। মেয়রও ছিলাম। একটা প্রশ্নও কেউ কোনও দিন তুলতে পেরেছে? এরা একের পর এক তা প্রমাণিত হচ্ছে। আমরা ভোটে দাঁড়াই যখন, একটি হলফনামা জমা দিই।"