নবমী নিশি পোহালেই উমার কৈলাশে ফিরে যাওয়ার পালা, বাঙালির মনে বিষাদের সুর। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীতে রেহাই মেলানি বৃষ্টির থেকে। তাই নবমীর সকালটা কোনও ভাবেই হাত ছাড়া করতে রাজি নয় বাঙালি। মঙ্গলবার তাই মায়ের বিদায়ের আগে শেষ মুহুর্তের আনন্দ উপভোগ করতে সকাল থেকেই কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমে নামল মানুষের ঢল।
বাদামতলা, মুদিয়ালি, ত্রিধারা, একডালিয়া, বোসপুকুর শীতলা মন্দির সহ একাধিক মণ্ডপে সকালেও চোখে পড়ছে মানুষের সমাগম৷ আর ঘুরতে ঘুরতে সব বাঙালির মনে যেন একটাই আর্তি, এই নিশি যেন না ফুরায়৷
মহা নবমীর পুজোয় হোমাগ্নিতে দেবীর স্তুতি করা হয়। কোথাওবা দেওয়া হয় ফল বলি। নবমীতে কুমারী পুজোও হয় কোথাও কোথাও৷ আসলে সারা বছর অধীর আগ্রহে এই ৪ টে দিনের অপেক্ষাতেই তো প্রহর গোনে সকলে৷ কিন্তু নবমী এলেই যেন গোটা এক বছরের অপেক্ষা আরও এক বছর বেড়ে যায়। এবছর UNESCO থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো, তাই অন্যান্যবারের থেকে এবারের শারদীয়া যে বেশ স্পেশাল তা বলাই বাহুল্য।