শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি(Asani)। ইতিমধ্যেই গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়(Cyclone)। আপাতত পুরী(Puri) থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। ১০ মে সন্ধ্যায় অন্ধ্র উপকূলে পৌঁছনোর কথা ‘অশনি’র। পরে সামান্য বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। কিন্তু কোন পথে স্থলভাগে প্রবেশ করবে অশনি, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পাশাপাশি, উপকূলবর্তী এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা(Red Alert)। নামখানার মৌসুনি দ্বীপ এবং সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের(Ghoramara Island) বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর জরুরি বিভাগগুলির অধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করা হয়। কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে তার রূপরেখাও তৈরি করে ফেলা হয়। আলিপুরে(Alipore Weather Office) জেলা সদর এবং প্রতিটি মহকুমা শাসকের দফতর এবং বিডিও অফিসগুলিতে একটি করে কন্ট্রোল রুম খুলে ফেলা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে পাঁচটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম তৈরি রাখা হয়েছে।
এছাড়া, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের(Fishermen) সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা এখনও নদী বা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরও ফিরে আসারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে এগিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে নদী এবং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশয়ে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে বলে স্থির করেছে প্রশাসন। তাই সাইক্লোন শেল্টারগুলিও খুলে দেওয়া হয়েছে। কাঁচা বাঁধের উপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিসের পর্যাপ্ত ত্রিপল, শুকনো খাবার(Dry Foods) এবং পানীয় জলের প্যাকেট(Drinking Water Pouch) মজুত করতে বলা হয়েছে।
এমনকি, অশনির জেরে পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জেলা সফর। সূত্রের খবর, ১০ ও ১১ তারিখের বদলে মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে যাবেন আগামী ১৭ এবং ১৮ তারিখ। দুই জেলায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি সেরে কলকাতায় ফিরবেন ১৯ তারিখ। অর্থাৎ অশনি(Cyclone Asani) সতর্কতায় প্রায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর সফর।