বাংলার হাসপাতালে কার্যত অচলাবস্থা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন ডিউটি এক চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড়। তদন্ত যত এগোচ্ছে, পেঁয়াজের খোলার মতো সামনে আসছে একের পর এক শিউরে ওঠার মতো তথ্য। ইতিমধ্যেই ঘটনায় এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, তিনি হাসপাতালের কেউ নন, বহিরাগত। এখানেই প্রশ্ন একজন বহিরাগত হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হলে ঢুকল কীভাবে?
সেমিনার হলে সিসিটিভি ছিল না। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাঝেমাঝে বিশ্রাম নিতেন হলে, মহিলারা পোশাকও বদলাতেন তাই সেই হল ছিল ক্যামেরামুক্ত। অন্যান্য ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই রক্ষীকে। হেডফোনের তারের একটি সূত্র ধরে রহস্য আরও দানা বাঁধছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে গোটা রাজ্য জুড়েই। বিচারের পোস্টে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। চিকিৎসক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে এই ঘটনার দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। না হলে তাঁরা কাজ করবেন না। জুনিয়র চিকিৎসকদের মুখে বারংবার উঠে আসছে নিরাপত্তাহীনতার কথা।
এই ঘটনায় প্রভাব পড়েছে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চিকিৎসকেরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলিনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়ার চিকিৎসকরা। আঁচ এসে পড়েছে SSKM-এও। রোগীরা টিকিট করিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে ডাক্তার নেই। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কর্মবিরতির চলছে, শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা সরব হয়েছেন প্রতিবাদে।