সাঁড়াশি চাপে অভীক দে। এবার তাঁকে কার্যত বিতাড়িত করল এসএসকেএম হাসপাতাল। আরজি করের ঘটনায় এর আগে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্যে স্বাস্থ্যভবন। মঙ্গলবার এক নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতাল জানিয়েছে, এই হাসপাতালে আর কোনও কাজ করতে পারবেন না অভীক। সোমবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও অভীককে সাসপেন্ড করেছে। অভীকের পাশাপাশি আরও দুই চিকিৎসক বীরুপাক্ষ বিশ্বাস এবং সুশান্ত রায়কেও মেডিক্যাল কলেজে দাদাগিরির অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে আইএমএ।
আরজি করের ঘটনায় ওই রাতে অভীকের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, বর্ধমান শাখার সিন্ডিকেটের মাথায় ছিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক। আরজি করের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও কেন ওইদিন রাতে তিনি সেখানে ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এমনকি, অভীকের এসএসকেএমে পিজিটি পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। ই আবহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সাসপেন্ড করে তাদের সদস্য অভীককে। তাদের তরফে এ-ও জানানো হয়েছিল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আর প্রবেশ করতে পারবেন না অভীক, যত দিন পর্যন্ত না তদন্ত শেষ হচ্ছে।