ধীরগতিতে হলেও নবমীতে যান চলাচল অব্যাহতই থাকল ভিআইপি রোডে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এই বছরের থিম রোমের ভার্টিকান সিটি দেখতে তৃতীয় থেকে উপচে পড়ছে ভিড়। পুজো যতই এগিয়েছে ভিড় বেড়েছে তত। ফলে চাপ বেড়েছে ভিআইপি রোডের উপর। কিন্তু চাপ বাড়লেও পুজোর চারটে দিন যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়নি। যা দেখে অনেকেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তাতেই কাজ হয়েছে। কারণ পুজোর চার দিন ভিআইইপি রোডে যান চলাচল একেবারেই বিরল দৃশ্য।
মহালয়ার পর থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে দর্শনার্থীরা ভিড় বাড়িয়েছেন শ্রীভূমির পুজো দেখতে। কিন্তু এত ভিড়েও কোনও ভাবেই থমকে যায়নি যান চলাচল। যানজট এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে।
বাগুইআটি থেকে উল্টোডাঙ্গা রুটের অটো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এমনিই যানজট কিছুটা কমে গিয়েছে। অন্যদিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লেকটাউনের সাবওয়ে এবং ফুটব্রিজ। দর্শনার্থীদের শ্রীভূমির মণ্ডপ দর্শন করতে হলে বাঙুরে নেমে যেতে হচ্ছে। কোনভাবেই লেকটাউন থেকে গোলাঘাট বাস্টপের মাঝের রাস্তায় কোনও বাস দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে মন্থর হলেও স্বাভাবিক রয়েছে পরিষেবা। তবে গোলাঘাট বাসস্টপে রয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড়। ফলে সেখানে কিছুটা যানজট রয়েছে।
প্রতিবছরই উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক বড় পুজোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে গত কয়েক বছর পূজোর সময় ভিআইপি রোডে চরম নাকাল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে, এই বছর ট্রাফিক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে আগের থেকে বলে মনে করছেন অনেকে।