রবিবার DYFI-এর ইনসাফ যাত্রা শেষ হল ব্রিগেডে। সকাল থেকেই ব্রিগেডমুখী মানুষ। ভিড়ের যে শক্তি দেখল সিপিএম, তা কি বুথেও প্রতিফলিত হবে! যদিও সিপিএম নেতা আভাস রায়চৌধুরী তাঁর বক্তৃতায় জানিয়েছেন, "মাঠের ব্রিগেডকে বুথের ব্রিগেডে পরিণত করতে হবে।" আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রবিবারের ব্রিগেডের ভিড়ই কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করছে বাম নেতৃত্ব।
৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শেষে সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI জানায়, তাঁদের কোচবিহার থেকে যাদবপুর-২৯১০ কিলোমিটার পথে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ সামিল হয়েছেন। রবিবার ব্রিগেডে যে ভিড় হয়েছে, তা মানছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বাংলায় লোকসভা ও বিধানসভায় আসন নেই। যুব সংগঠনের জমায়েতে এই ভিড় তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন ব্রিগেডে সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষদেরও ভিড় চোখে পড়েছে। যাতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
ব্রিগেডের সভা থেকে তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন বাম নেতা নেত্রীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেছেন। তবে ব্রিগেডের সভায় কংগ্রেস বা আইএসএফ নিয়ে কোনও প্রসঙ্গ আসেনি সিপিএমের যুব নেতৃত্বের মুখে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস নিয়ে এখনই কোনও কথা বলতে চাইছে না সিপিএম। শেষ পর্যন্ত দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে আলিমুদ্দিন।
এদিন ব্রিগেডে মঞ্চের নিচ থেকে ভাষণ শোনেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। মঞ্চে নেতৃত্ব দিলেন মহম্মদ সেলিম ও আভাস রায় চৌধুরী। সমাবেশের অনেকাংশ জুড়ে থাকলেন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সৃজন ভট্টাচার্যরা। এই নয়া প্রজন্মের ব্রিগেড নতুন করে আশা জাগিয়েছে ভবিষ্যতের জন্য। তবে বুথ স্তরে প্রভাব পড়বে কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।