নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে গ্রেফতার অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি শীলও। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কাকলীর সঙ্গে দু বার যোগাযোগ করেছেন তারা। একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ মিলিছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সূত্রে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। অয়নের গ্রেফতারির পর এই লকার ব্যবহার করা হয়েছে কীনা, তা জানতে চায় ইডি। তদন্তকারীদের আশঙ্কা এই কদিনের মধ্যে লকার থেকে বেশ কিছু জিনিশ সরিয়ে ফেলা হতে পারে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই হুগলিতে প্রাক্তন এক সরকারি কর্মী ও তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল অয়ন শীলের বিরুদ্ধে।
প্রোমোটার হওয়ার আগে অয়নের চাকরি হয়েছিল সরকারি কর্মী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে। অভিযোগ অয়নের কারণের নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়। এবং নিজের সুইসাইউ নোটেও নাকি অয়নের নাম উল্লেখ করেছিলেন। পুলিশি তদন্ত শুরু হলেও, তা পরবর্তী সময়ে ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের দাবি, দেহের পাশ থেকে একটি নথিতে লেখা ছিল প্রাইমারি টেটে প্রায় দুই কোটি টাকা এবং ২০১৫’র টেটে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অয়ন শীল।
এদিকে, শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় গিয়ে অয়ন শীলের গ্রেফতারির ঘটনায় নাম ওঠা শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেছেন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র। এলাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পুরসভায় গিয়ে শ্বেতার সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।