শুরু হয়েছিল গত ২৩ জুলাই টালিগঞ্জের ডায়মণ্ড প্লাজা থেকে। স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সেই প্রথম কলকাতার বুকে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপর বি টি রোডের পাশে ক্লাব টাউন হাইটস আর শনিবার গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি। তাতেই ইডির দাবি, ঝাড়খণ্ডের একটা ঘটনাকে বাদ দিলে গত তিন মাসে টাকা উদ্ধারে তারা শতরান করে ফেলেছে। যার সিংহভাগ উদ্ধার হয়েছে কলকাতার এই তিন জায়গা থেকে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই টাকা এখন থাকবে কোথায় ?
মূলত টাকা নয়ছয় প্রতিরোধ বা পিএমএলএ আইনে নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। টাকা গোনার দায়িত্বে থাকেন স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীরা। তাঁরাই টাকা মেশিন এনে টাকা গুনে ট্রাঙ্কে তুলে দেন। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সামনেই তৈরি হয় বাজেয়াপ্ত হওয়ার তালিকা। সেই বাক্স ভর্তি টাকা যায় স্টেট ব্যাঙ্কের রাজ্যের কোনও একটি শাখায়। যা ব্য়ক্তিগত আমানতে জমা পড়ে।
ব্যাঙ্ক থেকে সেই নগদ কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারে জমা করা হয়। যদিও সরকার, ইডি বা ব্যাঙ্ক এই উদ্ধার হওয়া নগদ ব্যবহার করতে পারে না। ইডি প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার তৈরি করে। বিচারবিভাগ পরবর্তী ছ’মাসের মধ্যে সেই অ্যাটাচমেন্ট অনুমোদন করে। এর পর শুনানি চলা পর্যন্ত ব্যাঙ্কের অধীনে থাকে টাকা। অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে নগদ কেন্দ্রের হাতে চলে আসে। অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেলে তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয় বাজেয়াপ্ত নগদ।