নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে থরে থরে নোটের তাড়া উদ্ধার করেছিল ইডি। এবার এক অন্য দৃশ্য দেখালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ছবিতে দেখা গিয়েছে, সাজানো ওএমআর শিট। সাদা-ও গোলাপি ওএমআর শিটে পেনের দাগও দেখা গিয়েছে। ইডির দাবি, এই সব উত্তরপত্র ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, অধিকাংশ ওএমআর শিট পুরসভার বিভিন্ন পদের পরীক্শার। কোনওটি পিওন, কোনও করণিক বা শ্রমিকের চাকরির। প্রত্যেক ওএমআর শিটে পরীক্ষার্থীদের সইও রয়েছে। পরীক্ষার হল থেকে তা কীভাবে হুগলির প্রমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে এল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার অয়ন শীলের হেফাজত চেয়ে আদালতে ইডি জানিয়েছে, শুধু স্কুলে নিয়োগ দুর্নীত নয়, পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, যে নথি তাঁদের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট অয়ন টাকার বিনিময়ে পুরসভার চাকরি 'বিক্রি' করতেন। বিভিন্ন পদের জন্য আলাদা রেট ছিল বলেও দাবি ইডির। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টি পুরসভার নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করেছেন অয়ন।