OAT-তে ফেস্ট হোক বা ক্যাম্পাসের মিছিল। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা ছিল সবসময়ের জন্য খোলা। কিন্তু কালী পুজোর ছুটির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই ছাত্রদের চোখ আটকায় গেটে লাগানো বিজ্ঞপ্তিতে। কর্তৃপক্ষের তরফে বড় বড় অক্ষরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, 'বিনা অনুমতিতে, বা উপযুক্ত কারণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।' এই নোটিস চোখে পড়ার পর থেকেই তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ।
কেন এই নোটিস? সেই খোঁজ নিতেই মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজির হন এডিটরজি বাংলার প্রতিনিধি। শুধু নোটিস নয়, কেন সেই নোটিসের উপর কালি লেপা হল তারও খোঁজ খবর নেওয়া হয়। কে বা করা এই নোটিসে কালি লাগিয়েছেন তা জানতে সাধারণ পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন আমাদের প্রতিনিধি।
ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কার্যত সরগরম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন এডিটরজি বাংলার প্রতিনিধি। এই প্রসঙ্গে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ঠিক কী বলছে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি, কবে এই বোর্ড লাগানো হয়েছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আগে থেকে কিছুই জানায়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্র ইউনিয়নের স্টক হোল্ডাররাও এই সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠানে দেশ বিদেশ থেকে বহু ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া এবং গবেষণার কাজ করতে আসে, অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হলে তারা সমস্যার মধ্যে পড়বেন বলেই মনে করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া স্মিতেশ বেরা জানান, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে বহু আবাসিক এবং স্টাফেরা থাকেন। নিত্য দরকারে তাদের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। তাঁদের আত্মীয় পরিজনেরাও আসেন গেটের নোটিস তাদের জন্যও অসুবিধাজনক’। তবে নোটিসে কালি লাগানোরও বিরোধিতা করছেন যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের স্পষ্ট দাবি ইউনিয়নের স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।