নির্বিঘ্নেই মিটে গেল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা টেট। জেলায় জেলায় কড়া নজরদারি ছিল। রবিবার ছুটির দিন বিকাশ ভবনে নিজের দফতরে বসে রাজ্যে টেটের উপর নজর রাখলেন ব্রাত্য বসু। অভিনন্দন জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেও। ধন্যবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও। তবে বিরোধীরা পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শনিবার থেকেই টেট পরীক্ষা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল অভিযোগ করেন, কেউ কেউ ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। রবিবারও তা নিয়ে সরগরম হয় রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকেও আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমন কোনও খবর তিনি জেনে থাকলে, তা সরকারকে জানানো উচিত ছিল। যদিও বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতির কারণেই এবার কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, আগেও নজরদারি ছিল।
আরও পড়ুন: প্রহসন ছাড়া কিছু নয়, নতুন টেট নিয়ে দাবি ধর্নামঞ্চের আন্দোলনকারীদের
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্নপত্রের ছবি ঘুরতে দেখা যায়। পর্ষদ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও সাইবার সেলকে খবর দেয়। যাচাই করে দেখা হয়, পুরোটাই ভুয়ো। এদিন তা নিয়েও মুখ খোলেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "যে ছবি ঘুরছে, তা আসলে ভুয়ো। মমতার সরকার যাতে পরীক্ষা না নিতে পারে, তার চেষ্টা চলছে। পরীক্ষা নেওয়া গিয়েছে।"