কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে শনিবার আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা ধরে হয়েছিল কাশীপুরে (Cossipore) নিহত বিজেপি (Bjp) নেতা অর্জুন চৌরাশিয়ার দেহের ময়নাতদন্ত (Autopsy)। সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টের খুনের প্রমাণ নেই বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী, দেহে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্নও মেলেনি বলেই খবর। শনিবার অর্জুনের দেহের ময়না তদন্ত করেন কম্যান্ড হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। এছাড়াও আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের সময় হাজির ছিলেন কম্যান্ড হাসপাতালের প্রধান, কল্যাণীর এইমস ও আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আরজিকর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
শনিবারই এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মৃতের বাড়ির সামনে ও চারপাশে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার থেকে অর্জুনের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানেও যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ সেখানে নমুনা সংগ্রহ চলে। কোয়ার্টারের বাইরের ছবির পাশাপাশি ভিতরে, যেখানে দেহটি উদ্ধার হয় সেখানকার ছবিও তোলা হয়।
শনিবারই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছিলেন, অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার সাহস নেই কম্যান্ড হাসপাতালের। কারণ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ফেলার ক্ষমতা হবে না হাসপাতালের চিকিৎসকদের।