ও হেনরির বিশ্ব বিখ্যাত ছোট গল্প, 'দ্য কপ অ্যান্ড দ্য আন্থেম'কে মনে করাচ্ছে বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni murder) নিরঞ্জন পল্লির ঘটনা। দাদার মৃত্যু হয়েছে সেরিব্রাল স্ট্রোকে। কিন্তু জেলে গেলে দু বেলার খাবার টুকু নিশ্চিত হবে, তাই থানায় গিয়ে দাদা-কে খুন করেছেন, বলে আত্মসমর্পণ করেন ভাই। দাদার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই আসল সত্য সামনে এসেছে।
মৃত্যুর আগেই ভাইকে এমন পরামর্শ দিয়ে গিয়েছিলেন দাদা। ভাইকে বলেছিলেন, দাদাকে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড যদি হয়, সরকারি খরচে সারাজীবন জেলেই খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
Summer vacations in schools: কমছে গরম, অবিলম্বে স্কুল খোলার পক্ষে শিক্ষক-অভিভাবকদের বড় অংশ
দেবাশিস চক্রবর্তী (৪৮) ভাই শুভাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনি একটি ছোট ঘরে থাকতেন। যাদবপুরের সিরামিকস ইন্সটিটিউটের কর্মী ছিলেন দেবাশিস ও শুভাশিসের মা। মা ৩৫ হাজার টাকা পেনশন পেতেন। দেবাশিস চাকরি করতেন ওই একই সংস্থায়। কিন্তু কর্মরত অবস্থায় তাঁর চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাকরি করতে না পারলেও প্রত্যেক মাসে ১৫ হাজার টাকা করে পেনশন পেতেন। শুভাশিস ২০১৭ সাল থেকে তিনি বেকার।
মে মাসে মায়ের মৃত্যুর পর থেকে ১৫ হাজার টাকায় সংসার চালানো ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠে। দিনের পর দিন শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাতেন। শুভাশিসের দাবি, তাঁর দাদার শারীরিক অবনতি হচ্ছিল। দাদাকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন হলে অন্তত সারা জীবন দু বেলা দু মুঠো খাবার নিয়ে ভাবতে হবে না, তাই সব পরিকল্পনা ছিল দাদার-ই।
মঙ্গলবার রাতে দেবাশিসবাবুর মৃত্যুর পর ভাই শুভাশিস বাঁশদ্রোণী থানায় এসে ‘আত্মসমর্পণ’ করেন। রাতেই পুলিশ তাঁকে নিয়ে গিয়ে মুখে বালিশ চাপা দেওয়া দেহটি উদ্ধার করেন। কিন্তু মৃতের শরীর বা বিছানায় কোনও ধস্তাধ্বস্তির চিহ্ন না থাকায় পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।