পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নের উত্তর না বলায় পরীক্ষার শেষে একটি স্কুলের কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে মারধর। অভিযোগ অন্য স্কুলের কিছু পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। প্রহৃত পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, গোলমালে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে লেক থানার পুলিশকেও।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রহৃত পড়ুয়ারা আগামী বৃহস্পতিবার অঙ্ক পরীক্ষা দিতে যেতেও ভয় পাচ্ছে। অভিযুক্ত স্কুলের কর্তৃপক্ষ যদিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের পড়ুয়ারা এই ঘটনায় যুক্ত নন। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ঢাকুরিয়ার সেলিমপুরের অ্যান্ড্রুজ স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে পাঠভবনের। সঙ্গে ঢাকুরিয়ার একটি স্কুল-সহ মোট ৪টি স্কুলের সিট পড়েছে। অভিযোগ, পাঠভবনের ছেলেদের কাছে প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে তাঁদের ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, এদিন পরিস্থিতি চরম আকার নেয়। মারধর করার অভিযোগ ঢাকুরিয়ার স্কুলের পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পরীক্ষার শেষে তাদের ফের দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসের এক কর্তা এদিন জানিয়েছেন, "পরীক্ষা ঘিরে দুটি স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে একটা গোলমাল হয়েছে। দুপক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে খবর পেয়েছিল আমরা। গোলমাল থামাতে অভিভাবকরাও স্কুলে ঢুকে পড়েন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না হয়, তাই পরবর্তী পরীক্ষাগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"
অভিযুক্ত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বুদ্ধদেব বসু জানিয়েছেন, "এই ঘটনার বিষয় প্রথমে কিছুই জানতাম না। আমাদের স্কুলের সামনেই থানা। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, গোলমাল আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে নয়। অন্য একটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়েছে।"