বিজেপিতে লোক নেই। যারা মিছিলে এসেছে তারা লাইন করে দাঁড়ালেও নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছবে না। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে এভাবেই খোঁচা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বিজেপিতে লোকজন নেই। শুধুমাত্র বাজার গরম করার জন্য পথে নেমেছে বিজেপি। তাদের যা লোকজন তারা সবাই যদি লাইন করে দাঁড়ায় তাও সেই লাইন নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছবে না।
এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযান শুরু হয়েছে বেলা ১টায়। যে অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়া এবং কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। এদিন সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীদের । নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। যার জেরে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। অন্যদিকে, নবান্ন অভিযানের শুরুতেই বাধা দেওয়া হয় বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন বিজেপি রাজ্যসভাপতি রাহুল সিনহাকে। আটক করা হয় তাঁদের। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে।
যদিও এই অভিযানকে একেবারেই আমল দিতে নারাজ ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'বিজেপিতে লোকজন নেই। চিন্তন শিবিরে বিজেপির পর্যবেক্ষক বনশল সাহেব নিজেই বলেছেন, বিজেপিতে শুধু নেতারাই রয়েছে। নিচু তলায় কোনও কর্মী নেই। যে দলের কর্মী নেই তাদের কাকে বাধা দেবে? শুধুমাত্র বাজার গরম করার জন্য বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে কিছু লোক জোগাড় করে আনা হয়েছে। কর্মীহীন একটা পার্টি শুধুমাত্র এজেন্সির কারণে বেঁচে রয়েছে।'
এরপরেই ফিরহাদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগকে কটাক্ষ করে বলেন, 'গার্ডরেল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তা দেওয়া হয়েছে সুরক্ষার জন্য। গার্ডরেলের আগে পর্যন্ত যেখানে পুলিশের অনুমতি রয়েছে ততদূর পর্যন্ত আন্দোলন করুক। আমরাও অভিযান করতাম, এসপ্লানেডে দাঁড়িয়ে। নবান্নের ভিতরে ঢুকে অভিযান হয় না। আমরাও কখনও রাইটার্সে ঢুকে যাইনি।'