অনলাইন গেমিং প্রতারণাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও পাঁচ। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলা রয়েছেন। বেহালার বাসিন্দা ওই মহিলার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
অনলাইন গেমিং প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে বুধবার সল্টলেকের একটি অফিসে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। ওই অফিসের মধ্যে একটি সার্ভার রুমের হদিশ মিলেছে। যেখানে দেখা যায় কোনও লোক ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কম্পিউটার চলছে। ওই অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৯৫২টি সিম কার্ড। হদিশ মিলেছে তিন হাজার এটিএম কার্ড এবং ৪৮৩টি ব্যাঙ্ক কিটের।
বুধবার এই কাণ্ডে প্রসেনজিৎ সরকার(৩২), শমিত মণ্ডল(৩৭), সুমা নস্কর (২৮), রাহুল পান(৩৭) এই চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুমার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার ওই অফিসের ম্যানেজার প্রতীক বাজপেয়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালায় ইডিও।
এই অনলাইন গেমিং প্রতারণা চক্রে দুবাই যোগ সূত্রের হদিশ পেয়েছে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের মূল চক্রী আমির খানের পাশাপাশি শুভজিৎ শ্রীমানি নামে আরও এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। ওই ব্যক্তি দুবাইয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় লক্ষাধিক টাকা। সাড়ে ১৪ ঘন্টার তল্লাশি শেষে টাকার অঙ্ক বেড়ে হয় সাড়ে ১৭ কোটি। কলকাতার তিন জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। এর মধ্যে ছিল বন্দর এলাকা গার্ডেনরিচ। আমির খানের বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়া নোটের তারা। নোট গুনতে খবর যায় ব্যাঙ্কে। আটটি মেশিনের চেষ্টায় শেষ হয় গণনা।