আরজি করে চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। চলছে গ্রেফতারি, জেরা, জিজ্ঞাসাবাদ, বয়ান যাচাই। রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন সোদপুরের ঘোলা থানার আইসি। পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জানতে চাওয়া হয়, ঘটনার রাতে তিনি শ্মশানঘাটে ছিলেন কিনা। কখন ঘটনার খবর পেয়েছেন? শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়ার সময়ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। রবিবার ফের চাঞ্চল্যকর মোড়। বউবাজার থানায় বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, অভিক দে ও রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী অঞ্জন মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়।
অন্যদিকে, আরজি কর দুর্নীতিতেও টাকা অন্যত্র সরানোর হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ টি সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই টাকা সরেছে অন্যত্র। তদন্তে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে ইডি।
শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এহেন সংস্থার সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে সংস্থা খুলে টাকা সরানোর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ওই সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি। একাধিক সংস্থার হদিশও মিলেছে বলে খবর। সংস্থার অ্য়াকাউন্ট ব্যবহার করে অন্যত্র টাকা সরানো হয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন কর্তারা। শুক্রবার ইডি কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান করে। বেশ কিছু সংস্থার সন্ধানও পান তাঁরা।
রবিবারই আরজি কর কাণ্ডের এক মাস। গত ৯ অগাস্ট, আরজি করের জরুরি বিভাগের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। মৃত তরুণীর আদিবাড়ি সোদপুরের মহেন্দ্রনগরে। পরে নাটাগড়ে এসে বাস শুরু করেন তাঁরা। বাবা পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন এই তরুণী। এমবিবিএস নিয়ে পড়াশোনা করে আরজি করে পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। সম্প্রতি গাড়িও কিনেছিলেন তরুণী। ৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি করেই আরজি কর গিয়েছিলেন তিনি। সকাল ১১টা নাগাদ বাড়িতে ফোন আসে, মেয়ে অসুস্থ। পরে হাসপাতালে গেলে জানা যায়, মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি।