উৎসবের আলোতে বোধন হল বাংলা। আর এই দিন জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠানো হল স্বাস্থ্য ভবনে। অনশনের ঠিক চারদিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে যোগ দিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সরকারি এই ইমেলের জবাবে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সরকারি মেলে বৈঠকে যোগ দিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সাত থেকে ১০ জনকে অনুরোধ করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের নেতা দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, অনশনরত ডাক্তারদের কথা মাথায় রেখে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই স্বাস্থ্য ভবনে যাচ্ছেন তাঁরা। দেবাশিসের দাবি, এবারও মেল এসেছে শেষ বেলাতে। তবে নিজেদের দাবি থেকে সরছেন না তাঁরা। কারণ, তাঁরা দুর্বল হননি।
এরইমধ্যে, ষষ্ঠীতে সন্ধ্যা নামতেই জনজোয়ার কলকাতায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রতিটি মণ্ডপেই ঢল দেখা গিয়েছে। সাধারণ জনতা যখন ভিড় ঠেলে মণ্ডপে ঢুকলেন, তখন পরিক্রমায় বেরিয়ে পার্ক স্ট্রিটে আটকে গেলেন আরজি কর এবং জয়নগরের ঘটনার প্রতিবাদীরা। পুলিশ জানাল, বিনা অনুমতিতে এই পরিক্রমা, তাই আন্দোলনকারীদের আটকে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ধর্মতলার মঞ্চে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের হাত শক্ত করলেন সাড়া দেশের চিকিৎসকদের সংগঠনরা। সিদ্ধান্ত হল, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে একদিনের প্রতীকি অনশন করা হবে।
দেবীর বোধনের আগে থেকেই অবশ্য সরগরম রইল পুজোর শুরুর দিনের কলকাতা। বিচারের দাবি উঠল দক্ষিণ কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়ারের মণ্ডপে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থেকে ফের পথ আটকাল কুলতলি। এর মধ্যে দুপুর থেকে সন্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের পরিক্রমাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয়ে গেল চাঁদনিচক থেকে ধর্মতলা।
জুনিয়র ডাক্তারদের গাড়ি আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে থেকেই মিনিডোর বার করার চেষ্টা হল। দু পক্ষের ধস্তাধস্তিতে জখম হলে হেয়ার স্ট্রিট থানার অতিরিক্ত ওসি শ্রাবন্তী ঘোষ। এরপর ধর্মতলা পর্যন্ত মানববন্ধন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সন্ধ্যায় তাঁদের পরিক্রমা আটকে দেওয়া হয় পার্ক স্ট্রিটে।