এত ছোট জায়গার মধ্য়ে কী ভাবে থাকেন ! সোমবার কালীপুজোর রাতে বাকি সব তারকার সঙ্গে তিনিও হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোতে। তাঁর নামই ছিল অতিথি তালিকার সবার উপরে। প্রথমবার এই পুজো দেখতে এসে নিজের বিস্ময় আর চেপে রাখতে পারেননি রাজ্যপাল লা গণেশন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কাছেই প্রকাশ করেছেন নিজের বিস্ময়ের কথা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজ্যপালের এই বিস্ময় মনে করিয়ে দিল কয়েক দশক আগে এই বাড়িতে আসা আর এক জনের কথা। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী। মুখ্যমন্ত্রীর মা গায়েত্রী দেবীর সঙ্গে দেখা করতে এসে সেদিনও ঠিক একই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোতে সস্ত্রীক আসেন রাজ্যপাল গণেশন। ঘুরে দেখেন পুজোর আয়োজন। পরিচত হন মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে। বেশির ভাগ সময়টা দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায়। তারই ফাঁকে নিজের বিস্ময়ের কথা জানতে চান মুখ্য়মন্ত্রীর থেকে। বাংলা তো বটেই এমনকী ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তৃণমূল নেত্রীর বৈভব নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না। এমনকী বিরোধীরা পর্যন্ত স্বীকার করেন, মুখ্যমন্ত্রী এখনও সাধারণের মতোই জীবন যাপন করেন। ছোট্ট ঘরেই তাঁর সব কিছু। তা আরও একবার প্রমাণ হল রাজ্যপাল লা গণেশনের এই বক্তব্যে।
কালীপুজোর রাতে এমনিতেই তারকা মেলায় ভরে থাকে মমতার বাড়ির উঠোন। সোমবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। তার মধ্য়েই একা হাতে পুজো সামলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সবার সঙ্গে দেখা করেছেন। বাড়ির কালীপুজোতে যেমন হেঁশেল সামলেছেন, তেমনই সামলেছে রাজ্য। বারবার খোঁজ নিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে। আবার ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট নিয়েছেন বানতলার আগুন নিয়েও।